সাইফুল্লাহ, ঢাকা: বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সামনে বিক্ষোভ করার পর পুলিশের বাধার মুখে শেষ হয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কর্মসূচি। সাথে সাথেই শান্তিপূর্ণ ভাবে বিক্ষোভ মিছিল শেষ করার সিদ্ধান্ত নেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতাকর্মীরা। সকল কর্মীদের কোন প্রকার স্লোগান ছাড়া নিজ গন্তব্যে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
এর আগে বক্তারা বলেন, ধোকাবাজির নির্বাচনে দেশপ্রেমিক ঈমানদার জনতা ভোটদান থেকে বিরত থাকবে। ভোট বর্জনের মাধ্যমে পাতানোর নির্বাচন রুখে দিতে হবে। সেই সাথে ইসলামী আন্দোলনের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদেরকেও ভোটকেন্দ্রে যাওয়া কিংবা ভোটদান থেকে বিরত থাকতে আহ্বান জানান।
শিক্ষা কারিকুলাম নিয়ে বক্তারা বলেন, নতুন শিক্ষাকারিকুলামের মাধ্যমে সরকার শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। নতুন প্রজন্মকে নাস্তিক ও মেধাশূণ্য করার সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে। নতুন কারিকুলামে যৌন শিক্ষাসহ এমন বিষয় সংযুক্ত করা হয়েছে। যাতে উঠতি বয়সি ছেলে-মেয়েরা বিপথগামী হয়ে নিশ্চিত ধ্বংসের দিকে ধাবিত হবে। বিরানব্বই ভাগ মুসলমানের দেশে সিলেবাস থেকে পর্যায়ক্রমে বাদ দেওয়া হয়েছে ইসলামের ইতিহাস, মুসলিম সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ, উদ্দীপনামূলক কবিতা, গল্প ও প্রবন্ধ। এটা মুসলিম জনগোষ্ঠীর নতুন প্রজন্মকে সর্বনাশ করে ফেলবে।
বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটের সামনে থেকে আজ শুক্রবার বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সমর্থিত নেতা কর্মীরা। রাজধানীর নয়াপল্টন মোড় পর্যন্ত এলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কর্মীদের বাধা দেয় পুলিশ। এতে সেখানেই মিছিল শেষ করতে বাধ্য হয় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। শুক্রবার জুম্মা নামাজের পর দুপুর ৩টার দিকে পুলিশের বাধার মুখে শেষ হয় এই বিক্ষোভ মিছিল।
আজ শুক্রবার জুম্মার নামাজ শেষে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে কোরআন তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। ক্রমে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতাকর্মীতে ভরে ওঠে বায়তুল মোকাররম প্রাঙ্গণ।এ সময় নানা স্লোগান দেন দলের কর্মীরা।